একান্নবর্তী -(প্রথম পর্ব)

গল্পের শুরুতে গল্পের সমস্ত চরিত্রের সাথে পরিচয় করিয়ে নেওয়ার দরকার রয়েছে।সবার আগে আমি। আমার নাম বাবাই(সৌগত ঘোষ)।১৮ বছর বয়স। সবে মাত্র উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছি। রেজাল্ট এখনও পর্যন্ত বেরোয়নি।

আমি পড়াশোনায় একেবারে ভালো ন‌ই। আমার আর পড়াশোনা হবে না তাই ভেবে নিয়েছি পরের বছর থেকে পারিবারিক কাপড়ের ব্যাবসাতে নেমে পড়বো। আমার ঠাকুরদা মানে বিমলেন্দু ঘোষ(৬১ বছর),সবাই ওনাকে বিমল বাবু বলেই চেনেন, আমাদের বাড়ির কর্তা।এত বড়ো ব্যাবসাটা ওনারই।গ্রামে ওনার খুব নামডাক রয়েছে।খুব গম্ভীর আর নিয়ম শৃঙ্খলাপরায়ন মানুষ।

ছোটবেলায় খুব দরিদ্রতা দেখেছেন তাই কোনো কিছু নষ্ট করা বা বাদ দিয়ে দেওয়াটাকে পছন্দ করেননা। বাড়ির যাবতীয় সব সোনা গয়না কিংবা টাকা পয়সা সবকিছুই দাদার(আমরা সব নাতি নাতনিরা ঠাকুরদাকে দাদা বলেই ডাকি) আলমারিতে থাকে। এককথায় দাদার পারমিশন ছাড়া বাড়ীতে একটা পাতাও নড়েনা। বাড়ির সকলে দাদাকে খুব যেমন ভয় পাই তেমনই সম্মানও করি। দাদার কথা না শোনার সাহস কারোর নেই। কারোর টাকার দরকার হলে দাদাকে এক একটা টাকার হিসেব দিতে হয়। এই দিক থেকে আমি খুব বড়লোক। দাদা আমাকে খুব ভালোবাসেন।

আমি ওনার চোখের তারা। একমাত্র আমাকে দাদার কাছে টাকা পয়সার হিসেব দিতে হয়না। আমি যখন যাই চাই দাদা আমাকে তার থেকেও অনেক বেশি দিয়ে দেন। আসলে প্রথমবার যখন ব্যাবসায় লোকসান হয়েছিল তখন দাদারও শরীর খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। সবাই ভেবেছিল দাদা হয়তো আর বাঁচবেননা। ঠিক ওইসময় আমার জন্ম হয়। জন্মের ১ সপ্তাহের মধ্যেই দাদা একেবারে সুস্থ হয়ে ওঠেন আর ব্যাবসায়ও উন্নতি হয়। তাই দাদার কাছে আমি হলাম ওনার রক্তমুখি নীলা।

আর দাদি মানে আমার ঠাকুমা, সাধনা দেবী(৫২ বছর), সারাদিন দাদার সেবা আর পুজো পাঠ নিয়েই থাকেন। আমার বাবারা তিন ভাই আর দুই বোন। আমার জেঠু মানে অরুনকান্তি ঘোষ(৩৯ বছর) খুবই সাদা সিধে মানুষ। কারোর সাতে পাঁচে থাকেননা। খুবই শান্ত ও নিরীহ প্রকৃতির মানুষ। জেঠিমার নাম পারুল ঘোষ(৩৪ বছর)। উনি একজন সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। জেঠু জেঠিমা আমাদের নিজের সন্তানের থেকেও বেশি ভালোবাসেন কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এমন মানুষদের কোনো ছেলে মেয়ে নেই, তাই হয়তো একটু বেশিই ভালোবাসেন আমাদের। জেঠিমা বেশিরভাগ দিনই বাপের বাড়ীতে থাকেন চাকরির জন্যে।

আসলে প্রতিদিন এখন থেকে স্কুলে যাতায়াত করা সম্ভব হয়না তাই। তবে প্রতি শনিবার স্কুল ছুটির পর বাড়ি চলে আসেন আবার সোমবার সকালে বেরিয়ে যান। জেঠিমা খুবই অমায়িক প্রকৃতির মানুষ । এমনকি উনি ওনারও মাইনের টাকাটা দাদার(ঠাকুরদার) হাতেই তুলে দেন।দাদা এত হিসেবী বলেই আজ আমাদের পরিবার এতটা প্রভাবশালী। আমার বাবার নাম বরুণকান্তি ঘোষ(৩৮ বছর)। খুবই খোসমেজাজি মানুষ। সবসময় হাসিখুশি থাকেন, আমি কখনো বাবাকে রাগ বা ঝগড়া করতে দেখিনি। খুবই মিষ্টভাষী, কাপড়ের দোকানেই কাজ করেন। আমার মায়ের নাম আরতি ঘোষ(৩৪ বছর)। বাবা মায়ের লাভ ম্যারেজ।মা হাউস ওয়াইফ।

মা খুব ভালো ছবি আকেন। মাকে খুব সুন্দর দেখতে। মাকে দেখলে কেউ বলবে না যে মায়ের বয়স ৩৪ বছর, এখনও মাকে ২৪ কি ২৫ বছর বয়সী বলে মনে হয়।আমার একজন দিদি আছে।সুচরিতা(সূচি) ঘোষ(১৯ বছর)। দিদি কলেজে পড়ে।ফাস্ট ইয়ার। আমার কাকিমাকেও খুব সুন্দর দেখতে।সাবিত্রী ঘোষ(৩২ বছর)। কাকিমাও হাউস ওয়াইফ। কাকিমা খুব ভালো গান করেন।খুব মিষ্টি গলা কাকিমার অথচ উনি কখনো গান শিখতেননা।আমার কাকু করুনকান্তি ঘোষ(৩৬ বছর)। কাকু একটু খামখেয়ালী মানুষ। ওনার একটা লাইব্রেরী আছে। কাকু একটু নিজের দুনিয়াতেই থাকতে ভালোবাসেন। দোকানে থাকা বাদে বাকি বেশিরভাগ সময়টাই কাকু ওনার লাইব্রেরীতেই কাটান। কাকু কাকিমার দুই ছেলে। বড়ো ছেলের নাম সৌমিত্র ঘোষ(সৌম্য)।১৮ বছর বয়স।পরের বছর উচ্চমাধ্যমিক দেবে।খুব মিশুকে ছেলে। আমার সাথে ওর সব থেকে ভালো বন্ধুত্ব। খুব হাসিখুশি আর খুব হ্যান্ডসাম ছেলে। আর ছোট ছেলের নাম সৌরভ (ছোটু)। এই বছর মাধ্যমিক দিয়েছে। পড়াশোনায় খুব ভালো।ওর ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছে রয়েছে। পিসিরা কাকুর থেকে ছোট। বড়ো পিসির বিয়ে হয়ে গেছে ১৮ বছর বয়সে।

বড়ো পিসির একজন ছেলে আর একজন মেয়ে। মেয়েটা বড়ো ছেলেটা ছোট। বড়ো পিসির নাম মধুমিতা(মধু)। পিসাবাবুর নাম অমল দাস। আমাদের বাড়ীতে আমরা ভাই বোনরা পিসাবাবু বলে আর বাকি বড়োরা জামাইবাবু বলেই ডাকে। বড়ো পিসির মেয়ের নাম অনিতা (অনি)। ছেলের নাম অভয়(অভি, ১৪ বছর)। ছোট পিসি বিয়ে করেননি। উনি বেবসা নিয়েই থাকেন। সবার শেষে আমাদের বাড়ির দুজন কাজের লোক। স্বামী স্ত্রী। ভরত কাকু(৪৫ বছর) আর সোমা কাকিমা(৩৮ বছর)। ওনাদের একজন ছেলে। সম্ভু।২২ বছর বয়স। আমরা সম্ভূ দা বলেই ডাকি।ওরা আমাদের বাড়িতেই থাকে।শক্তিপদ বাবু নামে একজন সাধু ব্যাক্তিকে দাদা খুব মান্য করেন।উনি আমাদের পরিবারেরই একজন সদস্য বলতে পারো।দাদা ওনার সাথে প্রতিদিন সন্ধেবেলা চায়ের সাথে পুরান নিয়ে গল্পো করতে বসেন।ওনার জ্যোতিষ শাস্ত্রে খুব জ্ঞান।

আমাদের আর বাবাদের নামকরণ উনিই করেছিলেন। আমি বুঝতেই পারছি গল্পের চরিত্রের বর্ণনায় অনেকখানি সময় লাগলো। আসলে আমাদের পরিবার খুব বড়ো। আরো অনেক আত্মীয় রয়েছেন আমাদের।তবে ওনাদের পরিচয় পরেই হবে।বাড়ির দুর্গাপুজো।পুজোর ১০ দিন আগে থেকেই বাড়ীতে ব্যাস্ততা শুরু হয়ে যায়। প্রথম থেকেই আমাদের বাড়ীতে দুর্গাপুজো খুব ধুমধাম করে পালন করা হয়।পুজোর পুরো সপ্তাহটা বাড়ির সবাই ও সমস্ত আত্মীয় স্বজন আমাদের বাড়িতেই থাকেন।পুজোতে এখনও এক সপ্তাহ বাকি।তাই এখন থেকেই বাড়ীতে আত্মীয়দের আনাগোনা শুরু হয়ে গেছে।অনেক বড়ো বাড়ি আমাদের,অনেক গুলো শোয়ার ঘর রয়েছে। তাই এইসময় বাড়ীতে থাকা নিয়ে কোনো অসুবিধে হয় না। এখন দুপুর ১২ টা। বাড়িতে এখন পুরুষদের স্নানের তোড়জোড় চলছে।কিছুদিন আগে দাদার পায়ে মোচ লেগেছে।তাই দাদিই দাদাকে স্নান করিয়ে দেন। পুরুষদের মধ্যে দাদা সবার আগে স্নান করেন। বাড়ির কর্তা বলে কথা।

মা কাকিমারা বেলা ১১ টার আগেই স্নান সেরে নেন।আমি এসেছি আমার এক বন্ধুর(বিশাল) বাড়ি, পুজোর নিমন্ত্রণ নিয়ে।যদিও আমাদের বাড়ির পাশেই বন্ধুটার বাড়ির আর অনেক দিন আগে থাকতেই ওকে বলেছি সপরিবারে উপস্থিত থাকার জন্যে, তবুও বাড়ীতে এসে বলে যাওয়াটা আমাদের প্রথা। ছোটবেলায় বিশাল দের বাড়ি খুব আসতাম খেলার জন্যে।এখন আর খুব একটা যাতায়াত হয় না।রবি কাকুকে(বিশালের বাবা) কাজের জন্যে বিলেতে থাকতে হয়।২ বছর ১ বার কি ২ বার আসেন।আমি কাকুকে খুবই কম দেখছি। হঠাৎ বাইরে কখনো দেখলে হয়তো আমি চিনতেও পড়বো না। আমাকে বাড়ীতে দেখে কাকিমা(বিশালের মা)(দিপালী ঘোষ,৪০ বছর বয়স) খুব খুশি হলেন।
কাকিমা(বিশালের মা): “বাবাই যে, তোমাকে তো এখন আর দেখাই যায় না।বিশালকে যে কতবার বলেছি তোমাকে একবার বাড়ীতে নিয়ে আসার জন্যে।তুমি তো আর অসই না। এখন আমাদের বাড়ি আর আসতে ভালো লাগে না বুঝি।”

আমি: “না না কাকিমা।ওরকম কোনো ব্যাপার নয়। আসলে এখন আর সময় পেতাম না।একদিকে পরীক্ষার চিন্তা তার ওপর দাদীর(ঠাকুমার) শরীর টাও খুব একটা ভালো থাকেনা, মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েন।তাই একটু ব্যাস্ত থাকতে হয়, বাড়ির বড়ো ছেলে বলে কথা।বুঝতেই পারছ।”
কাকিমা: “সৌম্য(ভাই) আর ছোটুওতো(ভাই) আসেনা। ওদেরও নিয়ে আসতে পারতে।”
আমি: “আসলে ওরা আমার মামার বাড়ি গেছে নিমত্রণ দিতে। ……কাকিমা, বিসু(বিশাল) কোথায়!”

কাকিমা: “বিসু এইমাত্র স্নান করতে গেছে।একটু বসো,আমি একটু চা করে আনি।চা খেতে খেতে বিসু চলে আসবে।”
এই বলে কাকিমা চা করতে চলে গেলেন।আমিও সোফার ওপর পা তুলে বসে পড়লাম।বিশাল দের বাড়ীতে কত স্মৃতি রয়েছে আমাদের। আমাদের বলতে আমার,বিশাল,সৌম্য,ছোটু আর বৃষ্টির। বৃষ্টি হলো বিশালের দিদি। আমার থেকে ১ বছরের বড়ো। ওকে আমি দিদি বলিনা।আমরা একসাথেই পড়তাম ক্লাস ১০ পর্যন্ত।তারপর বৃষ্টি মামার বাড়ি চলে যায় ১১-১২ পড়ার জন্যে। তারপর থেকে আর ওর সাথে খুব একটা দেখা হয় নি।আমি বৃষ্টিকে খুব পছন্দ করতাম।

ছোটবেলায় আমি ওকে প্রপোজ করেছিলাম আর বৃষ্টি আমাকে হ্যাঁ ও বলেছিল।আমার ছোটবেলায় ঘর ঘর খেলতাম যখন, আমার আর বৃষ্টির বিয়ে হতো,পুরোহিত হতো বিশাল , সৌম্য হতো আমার বাবা, আর ছোটু হতো বৃষ্টির বাবা।তখন খুব মজা করতাম। ছোটোবেলার আনন্দের দিনগুলো কত তাড়াতাড়ি চলে যায়, তাই না। পুরনো দিনের বোকা বোকা কথাগুলো ভাবতে ভাবতে হঠাৎ মুচকি মুচকি হেসে ফেললাম। ওই সময় আমার চোখ চলে যায় বারান্দায় শুকোতে দেওয়া ব্রা এর ওপর। দুটো ব্রা। একটা হালকা গোলাপি আর একটা কালো। কাকিমার(বিশালের মায়ের) ব্রা। বিলিতি ব্রা।ওই সেক্সি ব্রা যাকে বলে আর কি। দুটো কাপ পাতলা কাপড়ের ফুলের ডিজাইনে বানানো।অনেকটা রিভিলিং ব্রা। পরলে, বাইরে থেকে চামড়ার রংটা খুব ভালো করে বোঝা যাবে। মনে মনে কাকিমাকে ওই গোলাপি ব্রা পরে থাকতে ইমাজিন করলাম।চোখ ওই দিকেই আর মুখে মুচকি হাসি টাও লেগেছিল।
“….বাবাই…এই নাও….চা…।”

চমকে বাম দিকে তাকিয়ে দেখি কাকিমা(বিশালের মা) চায়ের কাপটা টেবিলের ওপর রেখে একটু ইতস্তত করে বললেন : “একটু বসো,….আমি…দু…টো…ওই…মনে….বিস্কুট নিয়ে আসি। ….একটু বসো…”
আমি: (মনে মনে)”হায় কপাল। কাকিমা(বিশালের মা) কি দেখে ফেলেছেন ! হ্যাঁ নিশ্চয়ই দেখেছেন। নাহলে এমন ইতস্তত বোধ করছিলেন কেনো। হে ভগবান । কাকিমা আমাকে কি নয় কি ভাবছেন। ইসসসসসস!”

এত সাত পাঁচ ভাবছি তবুও মনটা ইমাজিনেসানের কাকিমার ওই ব্রা পরা বুকের কাছেই আছে। কাকিমার বিস্কুট আনতে এত দেরি লাগছে। নিশ্চয়ই কাকিমা আমাকে খুব খারাপ ভেবেছেন। কি করবো কিছু বুঝতে পারছিলাম না।এমন সময় কাকিমা বিস্কুট নিয়ে এলেন। আমি কাকিমার দিকে একবার তাকিয়ে আবার মুখটা নিচের দিকে করে ফেললাম লজ্জায়। কাকিমার মুখের দিকে কি করে তাকাই ! কাকিমা চায়ের প্লেটে বিস্কুট গুলো রেখে প্লেটটা আমাকে বাড়িয়ে দিলেন। প্লেটটা কাকিমার হাত থেকে নিয়ে গিয়ে আমার চোখটা চলে যায় কাকীমার বুকের দিকে। কি সুন্দর । কাকিমা একটা আকাশি রঙের শাড়ি আর কালো রঙের একটা ব্লাউস পরে ছিলেন। কাকিমা খুব ফর্সা। ফর্সা বুকের ওপর কালো ব্লাউজটা কি সুন্দর লাগছে। ব্লাউজের ফাঁক দিয়ে কাকিমার স্তনের খাঁজ খুব ভালো করে বোঝা যাচ্ছিলো। এই বয়সেও দুধটা খুব সতেজ।এখনও সুন্দর ভাবে বুকে ধরে রয়েছে, ঝুলে যায়নি। বয়সের কোনো ছাপ নেই।হালকা ঘামে বুকের খাঁজ টা চকচক করছে।মনে হয় কাকিমা আজকে ব্রা পরেননি ভেতরে।আমার বুকটা খুব জোরে ঢিপ ঢিপ করা শুরু করেছে।জোরে জোরে নিঃশ্বাস চলছে। একবার যদি ধরতে পারতাম ওই সাদা বুকটাকে।একবার যদি খেতে পারতাম ওই দুধ।মনটা খুব ছটপট করা শুরু করেছে। কাকিমার স্যাম্পু করা ভেজা চুলের গন্ধ নাকে লাগতেই শরীরের মধ্যে যেনো বিদ্যুৎ খেলে গেলো।

সঙ্গে থাকুন …