মদনের ভ্যালেন্টাইন্স ডে পর্ব ২

This story is part of the মদনের ভ্যালেন্টাইন্স ডে series

    অন্বেষা। কুড়ি বছর বয়সী তরুণী অন্বেষা । নিবাস তার দুর্গাপুর ইস্পাত প্রকল্প নগরী । বাবা ওখানকার প্রতিষ্ঠিত ইঞ্জিনিয়ার । মা সুন্দরী গৃহবধূ। একমাত্র কন্যা অন্বেষার চোখে অনেক স্বপ্ন। ইনফরমেশন্ টেকনোলজি বিষয়ে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কোর্সে মেধাবী ছাত্রী ছিল। ফাইনালে ভালো মার্কস পেয়ে স্নাতক হয়েছে।

    বাবা ও মায়ের একদম ইচ্ছা ছিলো না-তাঁদের একমাত্র সন্তান অন্বেষা দুর্গাপুর শহর ছেড়ে কোলকাতা শহরের পৌরসভার এই “ডাটা এন্ট্রি অপারেটর “-পোস্টে চাকুরী করবে। কিন্তু ভীষণ জেদী কন্যা অন্বেষার জেদের কাছে হার মানতে হোলো বাবা ও মায়ের ।

    শেষ পর্যন্ত ভোরের ট্রেণে দুর্গাপুর স্টেশন থেকে রওয়ানা দিয়ে সকাল দশটা নাগাদ হাওড়া স্টেশনে পৌছে কিছু সময় বাদেই পৌরসভার সদর দপ্তরে পৌছে গেলো অন্বেষা সব সার্টিফিকেট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র একটা কিডস্ ব্যাগে নিয়ে । হাফ স্লিভ টি শার্ট এবং জিনস্ প্যান্ট পরা। উদ্ধত স্তনযুগল বেশ ডাগর ডাগর । ভারী পাছা । সরু কোমড়। পৌরসভার সদর আফিসে বছর পঁয়তাল্লিশ-এর বিবাহিতা ভদ্রমহিলা সুলতা দেবী যখন সদর আফিসে অন্বেষার কাগজপত্র চেক করে অন্বেষাকে নির্দিষ্ট ওয়ার্ড অফিসে পাঠালেন, তখন ঐ ওয়ার্ড অফিসের বর্তমান চেয়ারম্যান-এর কথার থেকে বেশী মনে পড়লো অবসরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মদনবাবু-র কথা।

    হবে না কেন? বছর দশেক আগে এই মদনবাবু চাকুরীরত অবস্থাতে থাকাকালীন এই সুলতাদেবী কামুকী লদকা শরীর নিজের বাসাতে নিজের শোবার ঘরে বিছানাতে বিস্তর চটকাচটকি এবং ভোগ করে অভাবী সংসারের অর্থ-সংস্থানের ব্যবস্থা করেছিলেন সুলতা-র চাকুরীর ব্যবস্থা করেছিলেন। ক্যানসার রোগে আক্রান্ত স্বামী । একমাত্র কিশোর ছেলেকে পড়াশুনার জন্য এবং সংসারের বিবিধ খরচ মেটানোর জন্য অর্থ সংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছিল সুলতাদেবী -র এই মদনবাবু-র বদান্যতায় । তারজন্য সুলতার গতরখানি লম্পট,কামুক মদন চন্দ্র দাস মহাশয়ের ভালোভাবেই চেটেপুটে খাওয়া হয়েছিল।

    মদনবাবু আজ থাকবেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং অভিঙ্জতার জন্য। মদনের “ভেট” হতে চলেছে আজকের এই কুড়ি বছর বয়সী তরুণী অন্বেষা ।

    সুলতাও আসবে পরের দিকে এই অন্বেষাকে ফুঁসলিয়ে মদনের বিছানাতে তুলে দিতে।

    অন্বেষা একটি ক্যাব বুক করে সোজা হেড-আফিস থেকে নির্দিষ্ট ওয়ার্ড অফিসে চলে এলো নির্ধারিত সময়ের আগেই-বেলা সাড়ে দশটার মধ্যে । ভাগ্যে কি লেখা আছে আজ তার? অন্বেষা কি আজ এই ইন্টারভিউ দিয়ে পৌরসভার ওয়ার্ড আফিস থেকে শিয়ালদহ স্টেশনে গিয়ে বিকেলের ট্রেণ (শিয়ালদহ-নিউদিল্লী রাজধানী এক্সপ্রেস ) ধরে দুর্গাপুরে নিজের বাড়িতে ফিরতে পারবে? না-আজ তাকে কোলকাতাতে থেকে যেতে হবে? দেখা যাক্-কি হয় শেষ পর্যন্ত । কারণ লম্পট কামুক মদনের বিছানা আজ গোলাপ ফুলে সজ্জিত “ভ্যালেন্টাইন্স বিছানা” হয়ে প্রস্তুত আছে অন্বেষার জন্য।

    যথারীতি শুরু হোলো। বড় ওয়েটিং হলে প্রার্থীরা বসে আছে। বর্তমান চেয়ারম্যান -এর ঘরে ইন্টারভিউ । ওখানে সাদা রঙের পাঞ্জাবী এবং পায়জামা পরে প্রাক্তন চেয়ারম্যান মদনবাবুও আছেন। এক এক করে প্রার্থী-দের নাম ধরে ডাকা হচ্ছে । এরমধ্যে ওদিককার কাজ সারছেন সুলতাদেবী । ওখান থেকে নিজের বাড়ি গিয়ে একটু সাজুগুজু করে মদনস্যারে -র বাসাতে অন্বেষা-কে ভেরাতে হবে। কচি জিনিষ। মন্দ লাগবে না মদন-স্যারের।

    সব কিছুই ঠিকঠাক চলছে ইন্টারভিউ-তে। এদিকে ওয়েটিং হলে বসে থাকা অন্বেষা-র সাথে এক বিবাহিতা ভদ্রমহিলা-র আলাপ হোলো। বছর ত্রিশ বয়স। হাতকাটা ডিপ্-কাট ব্লাউজ । স্তনবিভাজিকা দৃশ্যমান। পাতলা স্বচ্ছ সিফনের স্বচ্ছ শাড়ির মধ্যে ফুলকাটা কাজের পেটিকোট ফুটে উঠেছে । ডবকা ডবকা ম্যানাজোড়া । এই ভদ্রমহিলা কি ইন্টারভিউ দিতে এসেছেন? না—নিজের “জিনিষপত্র” দেখাতে এসেছেন? অন্বেষা অবাক হয়ে ভাবছে।

    অন্বেষার পরনে টি-শার্ট, জিনস্ এর ফুল প্যান্ট । হাতে রাখা একটা হালকা হাতকাটা সোয়েটার। এখনো শীত পুরো যায় নি। ভদ্রমহিলা যিনি ওয়েটিং হলে অন্বেষার ঠিক পাশে বসে আলাপচারিতা করছিলেন-ওনার বোধহয় শীত লাগে না।

    “দিদি-আপনার শীত লাগে না,কোলকাতাতে এখনো ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব আছে। আমাদের দুর্গাপুরে তো এখনো ঠান্ডা আছে। ”

    ফ্যাঁসফ্যাঁসে গলাতে (বেশ্যাদের কন্ঠস্বর যেন) ভদ্রমহিলা ইষৎ মুচকি হেসে অন্বেষাকে যা বললেন, তা শোনবার জন্য অন্বেষা মোটেই প্রস্তুত ছিল না ।

    “আরে তোমার বয়স কম তো। বড় হও, আস্তে আস্তে সব বুঝতে পারবে। ইন্টারভিউতে চেয়ারম্যান সাহেব তো পুরুষ-মানুষ। পুরুষ-মানুষদের খুশী করতেও তো হবে।” বলেই নিজের বুকের সামনে থেকে আংশিকভাবে সিফনের স্বচ্ছ শাড়ির আঁচল খসিয়ে দিলো । ইসসসসসস। হাতকাটা আকাশী নীল রঙের ব্লাউজ এবং ভেতরের ব্রা থেকে ডবকা চুঁচিজোড়া যেন বের হতে চাইছে এই ভদ্রমহিলা-র। অন্বেষা পুরো ঘেঁটে গেলো। এই মহিলা বলে কি?

    যাই হোক্–একটু বাদেই চেয়ারম্যান সাহেবের চেম্বার থেকে নিজের শাড়ির আঁচল ঠিক করতে করতে আরেক বিবাহিতা মহিলা বের হলেন ইন্টারভিউ দিয়ে। ঐ মহিলাটি এবং অন্বেষার ঠিক পাশে বসা মহিলাটির কথাবার্তা শুনে অন্বেষা-র কান গরম হয়ে উঠলো।

    “কেমন হলো গো তোমার? কিরকম প্রশ্ন করছেন সাহেব-রা? খুব শক্ত ? ”

    “আর বোলো না গো । যত্তোসব। প্রশ্ন ? ধুর। ওনারা দুইজনে ভেতরে ইন্টারভিউ বোর্ডে আছেন। একজন তো মনে হলো যে উনিই এখানকার সবচেয়ে বড় কর্তা । একেবারে ল্যাদসমার্কা। পাশে আরেকজন বেশ “বয়স্ক” ভদ্রলোক বসেছিলেন। উনিই সব কিছু প্রশ্ন করছেন। কিন্তু ওনার না “খুব দোষ ” আছে গো। ভীষণ “দোষ”।” বলে কানের কাছে মুখ লাগিয়ে ফিসফিস করে বললেন–‘”খুব আলুবাজ”। এই শুনে মুখ টিপে হাসতে লাগলো এই দুই বিবাহিতা মহিলা ।

    তারপরে পর পর প্রার্থী র ডাক পড়ছে। অন্বেষার ডাক আর পরে না। পাশে বসা বিবাহিতা ভদ্রমহিলার আর ডাক পরে না। বেলা একটা নাগাদ টিফিনের বিরতি। পাশেই ক্যানটিন। অপেক্ষমান প্রার্থীরা এবং অন্বেষা ও পাশে বসা ভদ্রমহিলা ক্যান্টিনে বসলেন। হাল্কা করে টিফিন করা। এর মধ্যে ওখানে হাজির বেশ সেজেগুজে সুলতাদেবী। হাল্কা গোলাপী রঙের লিপস্টিক ঠোঁটে । লাইট গোলাপী-সাদা রঙের ছাপাছাপা পাতলা স্বচ্ছ সিফন- শাড়ি। ভিতর থেকে ফুটে উঠেছে গোলাপী রঙের লক্ষ্ণৌ চিকন কাজের দামী সুদৃশ্য পেটিকোট । হাতকাটা ছাপাছাপা গোলাপী রঙের ব্লাউজ । আরে সেই হেড আফিসে কাউন্টারে বসা ঐ ভদ্রমহিলা তো। বেশ সুন্দর সেজে এসেছেন। উনিই তো আজ সকালে অন্বেষা-র সব পেপারস চেক করেছিলেন।

    “কি গো , তোমার ইন্টারভিউ হয় নি এখনো?”সুলতাদেবী অন্বেষাকে প্রশ্ন করলেন।

    “না দিদি-এখনো আমার ডাক আসে নি। দেখুন না কতো দেরী হচ্ছে। এই দিদির -ও ডাক আসে নি”-অন্বেষা সুলতাকে বললো। সুলতা একবার ঐ মহিলার দিকে আড়চোখে দেখে নিয়ে ভাবলো মনে মনে-মহিলাটি তো বেশ। এনাকে তো মদনস্যার ইন্টারভিউতে দেখলেই মদন-স্যারের পায়জামা-র ভেতরে কালচে বাদামী রঙের “ল্যাংচা”-টা শক্ত হয়ে উঠবে। ইসসসসসস। ম্যানাদুখানি তো বেশ ।

    যাই হোক। কিছুক্ষণ পরে আবার ইন্টারভিউ শুরু হোলো। বেলা তিনটে,বেলা সাড়ে তিনটে,বিকেল পৌনে চারটে,বিকেল চারটে,বিকেল সওয়া চারটে। এখনো পাঁচ ছয়জন এর ইন্টারভিউ বাকী। অন্বেষা উসখুস করছে
    ওদিকে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ঠিক বিকেল চারটে পঞ্চাশ মিনিটে নিউদিল্লী-গামী রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেনের রওয়ানা হবার কথা। ঐ ট্রেণ ধরা একরকম অসম্ভব। এর মধ্যে বাবা এবং মায়ের সাথে বার দুয়েক টেলিফোনে কথা বলেছে অন্বেষা । দেরী হবে ফিরতে । জানিয়ে দিয়েছে। যেন চিন্তা না করেন ওনারা। কিন্তু এর পরে কিভাবে ফিরবে?

    সেই চিন্তা ক্রমশঃ গ্রাস করলো অন্বেষা-কে। এরপরে কি হোলো? সুলতাদেবী আছেন। তাও ভরসা। সুলতাদেবীকে ভালোই লেগেছে অন্বেষার। বারবার এসে ওয়েটিং হলে কথা বলে যাচ্ছে। কিন্তু–এই সুলতাদেবী র মাথাতে কি প্ল্যান আজকে–ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারলো না কুড়ি বছর বয়সী তরুণী অন্বেষা ।

    এই সুলতাদেবীকে এত বিশ্বাস করছে মনে মনে? এরপরে কি হোলো ?

    ক্রমশঃ প্রকাশ্য ।