হরিরামপুরে হাহাকার পর্ব ৫

এই পর্ব টাও একটু বড় হয়ে গেল আর যৌনতা ছাড়াই থাকলো আসা করবো আমার পাঠক /পাঠিকা রা একটু ধৈর্য ধরবেন ধন্যবাদ

শম্ভুর অফিস থেকে বেরিয়ে মোহন ওকে একটা ভাতের হোটেলে নিয়ে যায় ওখানে লাঞ্চ করে ওরা গ্রাম দেখতে বেরিয়ে পড়ে গ্রামের লোকেরা ওর মতো স্টাইলিশ শহরের মেয়ে কে দেখে হা করে তাকিয়ে থাকছিলো কিন্তু সেসব পাত্তা না দিয়ে কৃতি নিজের মতো ছবি তুলে আর নোটবুক এ লিখে রাখছিল তথ্য । গ্রাম টা বেশি বড় না ২ ঘন্টার মধ্যে পুরো গ্রামের টুর হয়ে গেল ওকে ওর ঘরের সামনে নামিয়ে মোহন বললো বাস ম্যাডাম এইটুকু করার কথা ছিল আমার আমি করে দিলাম বাকিটা আপনি দেখে নিন কৃতি হেসে বললো অনেকে ধন্যবাদ আপনাকে লাস্ট একটা কাজ একটু করে দিয়ে যান প্লিজ একটা সাইকেল এর বেবস্থা যদি করে দেয়া যায়।

রাগে গজ গজ করতে করতে বেরিয়ে গেল মোহন কিন্তু ১ ঘন্টার মধ্যেই একটা লেডিস সাইকেল নিয়ে এসে হাজির হলো বললো এটা রাখুন দোয়া করে সাবধানে চালাবেন ভাড়া তে নেওয়া। কৃতি আবার ধন্যবাদ জানিয়ে সাইকেল টাকে চেইন দিয়ে ঘরের জানলার সাথে বেঁধে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। তারপর টান টান হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ে।খুব গরম লাগছে বলে কুর্তি আর জিন্স টা খোলে উপর হয়ে শুয়ে নিজের নোটবুক টা খোলে পেন নিয়ে আজকের দিনের ঘটনা গুলো সাজাতে থাকে ।

প্রথম গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান লোকটা সেরম ডেঞ্জারাস নয় কিন্তু খুব ই করাপ্ট ওকে একটু নজরে রাখলেই চলবে দ্বিতীয় গ্রামের কিছু লোকেদের ইন্টার্ভিউ করতে হবে এত বড়ো একটা ড্রাগ এর স্মাগলিং চলছে কেউ কিছু তো জানবেই কায়দা করে বের করতে হবে। তৃতীয় গ্রামের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে খুব এ রহস্যময় একটা জায়গা কেউ কিছু বলতে চায় না ওখানে কয়েকবার ওখানে যেতে হবে । আর চতুর্থ সব থেকে ইম্পরট্যান্ট শম্ভু লোকটা যেমন ধূর্ত নিষ্টুর পলিটিক্যাল কানেকশন অনেক উপর পর্যন্ত আর মেয়ে ঘটিত কেসে রিপোর্ট ও অনেক ওর চোখের আড়ালে করতে হবে সব কিছু না হলে পুরো মিশন তো যাবেই ওর ধর্ষিত লাশ ভাসবে ওই পাশের ডোবায়।খুব টায়ার্ড ছিল তাই আর ডিনার না করেই ঘুমিয়ে পড়ে ব্রা পান্টি পরে।

পরদিন খুব সকালে ঘুম ভাঙে উঠে স্নান করে নতুন একটা ডিপ ব্লু কালার এর ব্রা প্যান্টির সেট পরে তারউপর একটা ঢোলা টি শার্ট চাপায় সাইকেল তা নিয়ে প্রথম এ একটা চা এর দোকানে গিয়ে চা জলখাবার খেয়ে কয়েকটা বাড়িতে যায় কিন্তু ওকে হতাশ হতে হয় বাড়ির ছেলেরা সবাই কাজে গেছে আর মেয়েরা কেউ মুখ খুলতেই চাইছে না। যাইহোক প্রায় ২ টোর দিকে শেষ বাড়ি থেকে হতাশ হয়ে বেরিয়ে আসছে তখন হটাৎ একটা ডাক শুনতে পায় পিছন থেকে দিদি দাঁড়াও!! ও ঘুরে দেখে একটা বছর কুড়ির মেয়ে গায়ে ঘরও নাইটি ওর কাছে এসে হাঁপাতে হাঁপাতে চাপা গলায় বলে তুমি সেই ইস্কুল এর দিদিমনির কথা জিজ্ঞেস করছিলে না?

ওই দিদিমনি কে শম্ভু আর বিলু ওদের বাড়িতে প্রায় ১ সপ্তাহ আটকে রেখে ছিঁড়ে খেয়েছিল তারপর গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করে ওই ডোবাতে ভাসিয়ে দেয় কেউ কিছু বলবে না সবাই ভীষণ ভয় পায় ওদের। কৃতি হাসে বলে তুমি ভয় পাও না?? মেয়েটা বলে আমি দিদিমণি কে খুব ভালোবাসতাম ওনার জন্য আমি সব কিছু সহ্য করতে পারি! কৃতি ওকে বুঝতে দেয় না ও সব টাই জানে মুখে বলে দেখো আমি পুলিস না আমায় এসব বলে কোনো লাভ নেই।

বলে সাইকেল এ উঠে বুঝতে পারে মেয়েটার চোখে আগুন ঝরছে ওর চোখ টাও ভিজে আসে কিন্তু ওর লক্ষ অনেক বড় দিকভ্রষ্ট হলে চলবে না ও সাইকেল এর প্যাডেল এ চাপ দিয়ে হসপিটালের দিকে চলে।হসপিটাল এ পৌঁছে দেখে ওপিডি বন্ধ হয়ে গেছে চারিদিক ফাঁকা মোহনদা ওকে রায়হানা বলে একজন নার্স এর ফোন নম্বর দিয়েছিল তাকেই ফোন লাগায় রায়হান ফোন ধরে ওকে দাঁড়াতে বলে কিছুক্ষন পর একটা ঘরের দরজা খুলে একজন বছর ৩০ এর মহিলা বেরিয়ে আসে ওকে নিয়ে যায় নিজের কোয়ার্টার এ বলে ওর ও নাকি ৬ মাস আগেই এখানের পোস্টিং হয়েছে।

ওকে ওর সেই একই গল্প করে রিপোর্টের এর কৃতি। রায়হানা অনেক্ষন ওর দিকে তাকিয়ে থেকে বলে লাল কবুতর কৃতি চমকে ওঠে বলে আপনি!!! রায়হান হেসে হাত বাড়িয়ে দেয় রায়হান পারভেজ ইন্টেলিজেন্স। তারপর চাপা গলায় বলে কেউ যেন না জানে আমি এই ৬ মাসে যা ইনফরমেশন পেয়েছি আপনাকে দিচ্ছি এখানের এমএলএ শম্ভু ওর ওর ডান হাত বিলু আর বাঁ হাত ভোলা ওরা একটা বড়ো ড্রাগ চক্র চালায় প্রধানত গাঁজা এছাড়াও ট্যাবলেট পাউডার সব ই আছে ড্রাগগুলো আসে বাংলাদেশ থেকে ওরা ওদের ট্রান্সপোর্ট এর জন্য হসপিটাল এর সাপ্লাই এর গাড়ি গুল ব্যাবহার করে কিন্তু কিন্তু কখন কিভাবে ওরা বর্ডার পর করে আর কোথায় ওগুলো গাড়িতে লোড হয় সেগুলো আমরা কিছুই জানি না।

এগুলোর প্রমান জোগাড় করতে হবে তোমায় তবেই আমরা ওকে গ্রেপ্তার করতে পারবো না হলে ওর পলটিক্যাল কানেকশন এত স্ট্রং ঠিক বেরিয়ে যাবে। কৃতি সব শুনে বলে ওকে আমি কাজ শুরু করে দিচ্ছি বলে উঠে দাঁড়ায় রায়হানা বলে ও আর একটা কথা শম্ভু দের দলের আরো একটা গুন আছে ধর্ষণ কয়েক বছর আগে ঋদ্ধিমা নামের একজন স্কুলের দিদিমনি কে ওরা ধর্ষন করে খুন করেছিল এখন এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের লেডি ডক্টর কে কিছু দিয়ে একটা ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণ করেছে কি ব্যাপার সেটা এখনো জানতে পারিনি এই ব্যাপারটাও আমাদের একটু দেখতে হবে। কৃতি বলে একটু কথা বলা যায় ওই ডক্টর এর সাথে? রায়হানা বলে চলুন কিন্তু মেয়েটা ভীষণ শক এ আছে আমি অনেক চেষ্টা করেছি কিছুই বলতে চায় না। কৃতি বলে ওকে আমি একটু চেষ্টা করে দেখি আচ্ছা কি নাম ওনার?? রায়হানা উত্তর দেয় অশ্মিতা….

দরজায় টোকা দিলো অশ্মিতা কোনো উত্তর নেয় রায়হান চিৎকার করে বললো দিদি আমি রায়হান দরজা খোলো ঘরের দরজা হালকা ফাঁক হলো একটা মেয়ের মুখ দেখতে পেল কৃতি বয়েস কাট চুল বেশ মিষ্টি দেখতে রায়হানা বললো দিদি ইনি কৃতি বাসু রিপোর্টার আপনার সাথে কথা বিলতে চান । অশ্মিতার মুখে ভয় খেলে গেল ও বললো আমি কাউকে ইন্টার্ভিউ দেব না প্লিজ আপনি অসুন বলে দরযা টা বন্ধ করতে গেল কৃতি হাত দিয়ে দরজা টা ধরে ফেলে মরিয়া হয়ে বললো প্লিজ অস্মিতা তোমার ভালো চাই আমি প্লিজ একবার আমার কথা শোন। অস্মিতা কি ভেবে দরজাটা খুলে দেয়।

কৃতি বলে রায়হানা দি আমি একটু একা কথা বলতে চাই। রায়হানা ওকে বলে চলে যায়। কৃতি ঘরে ঢুকতে অস্মিতা দরজা টা বন্ধ করে কৃতি ঘরের মধ্যে টা দেখে এমনি সাদামাটা ঘর টেবিল এর উপর ডাক্তারীর কিছু মোটা বই আরডাক্তারীর সরঞ্জাম সাজানো। অস্মিতা ওকে চেয়ারে বসতে বলে নিজে বিছানায় বসে । কৃতি দেখে মেয়েটা অপূর্ব সুন্দরী দুধে আলতা গায়ের রং দেখেই বোঝা যায় অভিজাত পরিবার এর মেয়ে দুর্দান্ত ফিগার উদ্ধত স্তন ওর স্লিভলেস টপ এর নীচে নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে নীচে একটা জিন্স এর সর্টস মসৃন পুরুষ্ট থাই দৃশ্যমান।

কৃতি কথা শুরু করে আমার কথা খুব মন দিয়ে শোনো অস্মিতা আমি তোমার ব্যাপারে জানি আমার হতে বেশি সময় নেই যদি তুমি এই বেপার থেকে বেরিয়ে আসতে চায় আমাকে জলদি সব খুলে বলো। অশ্মিতা কান্নায় ভেঙে পড়ে কৃতি ওকে জড়িয়ে ধোরে সান্তনা দেয় বলে শক্ত হয় অস্মিতা সামনে অনেক কাজ বাকি।অস্মিতা নিজেকে সামলে নিয়ে শুরু থেকে সব বলা শুরু করে। কৃতি শুনতে শুনতে শিউরে ওঠে এই মিষ্টি সুন্দরী মেয়েটার সাথে জানোয়ার এরা ছিঃ ওর চোয়াল শক্ত হয়ে ওঠে শিক্ষা দিতেই হবে এদের ।

ও ব্যাগ থেকে একটা ক্যামেরা আর একটা ভয়েস রেকর্ডার বের করে বলে শোনো অশ্মিতা তুমি যে সব হসপিটাল ডকুমেন্ট এর কথা বলছো এবার থেকে সুযোগ পেলেই সেসবের ছবি তুলবে আর সুযোগ মতো সেগুলো রেহানার হাতে তুলে দেবে আমি পেয়ে যাবো আর এই ভয়েস রেকর্ডার টা তোমার বিছানার তলায় লাগিয়ে দিয়ে যাচ্ছি এরপর যখন ই বিলু আসবে তুমি ওকে ভালোবাসার অভিনয় করবে আর ও যখন তোমাকে খাবে ওর থেকে হসপিটাল রিলেটেড আর ওই স্কুলের দিদিমনির ধর্ষণ এবঙ খুনের বেপারে ইনফরমেশন বের করার চেষ্টা করো।

কৃতি উঠে দাঁড়িয়ে অশ্মিতার পিঠে হাত রাখে বলে চিন্তা করো না সব ঠিক হয়ে যাবে। অস্মিতা কোনোমতে বলে আপনি আসলে কে?…. কৃতি শুধু বলে আমি একজন রিপোর্টার শুধু আমার এখানে আসার কথা কেউ যেন না জানতে পারে বলে বেরিয়ে আসে সাইকেল নিয়ে রওনা দেয় ওর বাড়ির দিকে ঘরের চাবি খুলে ঢুকে কিরম যেন অন্যরকম লাগে কেউকি ঢুকেছিলো ওর ঘরে?… যাইহোক ও নিজের ল্যাপটপ টেনে নিয়ে কাজে ব্যস্ত হয়ে যায় একটা মোটামুটি খসড়া বানাতে হবে অনেক তথ্য আছে ওর হাতে কিন্তু ল্যাপটপ টা খুলেই ওর শিরদাঁড়া দিয়ে একটা ভয় এর স্রোত নেমে যায় ওর ল্যাপটপ ফুল চার্জ ছিল কিন্তু এখন ৫০% এর ও কম তারমানে কেউ কর ল্যাপটপ খুলে কাজ করেছে…..